নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের স্বজনদের যথাযথভাবে সহায়তা করার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা (পূর্ব) জামায়াতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নুরুজ্জামান লিটন।
নুরুজ্জামান লিটন আরও বলেন, জুলাই আগস্টের বিপ্লব স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো একটি গণবিপ্লব। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলেও এখনো তার প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের দাবিও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ হলরুমে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন নুরুজ্জামান লিটন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুজ্জামান আয়নাল, সদস্য সচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা, উপজেলা জামায়াতে আমীর সাইফুল ইসলাম, পৌর আমীর রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির বুলু ও বিএনপি নেতা জার্জিস হোসেন সোহেল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মিল্টন কুমার, উপজেলা প্রকৌশলী মাসুক ই মোহাম্মদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবা খাতুন, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নীলা ইয়াসমিন, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জান্নাতুন ফেরদৌস, মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম-সহ ছাত্র আন্দোলনে আহত রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মোমিনুল হাসান, আহত ছাত্র ফায়সাল আহমেদ শান্ত ও কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়ক।
স্মরণ সভা শেষে ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।