বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণের দাবিতে জনতার মিছিল-অবরোধ থামছেনা। স্বৈর শাষকের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগন অপসারণ হয়। এর পরই অপসারণ হয় পৌর মেয়র। লামা উপজেলা পরিষদে প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং। পৌরসভায় প্রশাসক নিযুক্ত হন বান্দরবান জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম। এর আগে ফাঁসিয়খালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় অপসারিত হয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আঃ রহিমকে সমর্থন করে অপরাপর সদস্যরা প্রস্তাব দেন। সূত্রে জানাযায়, আঃ রহিমকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে, তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে। অপরদিকে সংক্ষুব্দ জনতার আন্দোলনের মুখে আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০ আগস্ট রুপসিপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে মিছিল ও অবস্থান ধর্মঘট করেন সংক্ষুব্ধ জনতা। ২১ আগস্ট লামা সদর ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেনের অপসারণ দাবি করেন উত্তেজিত জনতা। সরই ইউপির
চেয়ারম্যান ইদ্রিছ কোম্পানীর অপসারণ দাবি করে, ২২ আগস্ট মিছিল স্লোগান দিয়ে শত শত মানুষ রাজ পথ মাতিয়ে তোলেন। লামা উপজেলায় ৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা। ক্ষুব্দ জনতার দাবি হচ্ছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিগত তিন মেয়াদে হাসিনার নেতৃত্বে অগণতান্ত্রিক সরকার রাতের ভোটে নির্বাচিত করেছিল চেয়ারম্যানদেরকে। নির্বাচনের নামে বিপুল পরিমান জাতীয় অর্থ নষ্ট করে ভোটানুষ্ঠানের নাটক করেছিল। ছাত্র জনতার তুপের মুখে ৫ আগস্ট স্বৈরচার হাসিনাসহ তার অনেক মন্ত্রীরা পালিয়ে যায়। এর পর থেকে সংক্ষুব্ধ জনগন সারা দেশে উত্তেজনায় মেতে উঠেন। হাসিনার পতনের আনন্দ ও পুঞ্জিভূত ক্ষোভের ছাপ পার্বত্য লামায়ও লাগে। এদিকে তৃণমূল পর্যায়ে সামাজিক বিচার, শালিসি কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলেও শুনা যাচ্ছে। এই মূহুর্তে গ্রাম্য বিচার ব্যবস্থা স্বচ্চতায় স্থানীয়দের মাঝে কারা এই কাজ নিশ্চিত করবেন; সেই প্রশ্ন এখন সবার। সচেতন মহলের দাবি হচ্ছে, পরিষদ চেয়ারম্যানগন নিয়ে সংক্ষুব্ধ জনতার অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত সামাজিক বিচার পক্রিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের নজরে আনা প্রয়োজন।