নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- রাজশাহী মহানগরীতে টাকা লেনদেন নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে সাব্বির আহম্মেদ (২২) নামের এক যুবককের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর চন্দ্রীমা থানার ছোট বনগ্রামের কৌটাপুকুর এলাকার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির একই এলাকার হায়দার তালুকদারের ছেলে। এই ঘটনায় মিজানুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মিজানুর রহমান রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার গোলাপ হোসেনের ছেলে।
এদিকে হত্যার বিচার চেয়ে সাব্বিরের লাশ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী। এসময় মানববন্ধনকারীরা সাব্বির হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিজেদের মধ্যে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন সাব্বির। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। পরে এই ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। নিহতের মরদেহ রবিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ জানায়, সাব্বিরের সঙ্গে মিজানুর রহমান এবং পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তরের অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার রাতে সাব্বিরের সঙ্গে আসামিদের ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর মোড়ে দেখা হলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আসামিরা তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট করতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ, গোলাপ ও অন্তর সাব্বিরকে ধরে রাখে এবং মিজানুর চাকু দিয়ে তার বুকের বাম পাশে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন সাব্বিরকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাত ১০টায় সাব্বির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় সাব্বিরের বাবা চন্দ্রিমা থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) বিভূতি ভুষন ব্যানার্জী, পিপিএম এর দিকনির্দেশনায় চন্দ্রিমা থানা পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে। ওই রাত ২টার দিকে চন্দ্রিমা থানার এসআই রেজাউল করিম ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি মিজানুরকে ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া কৌটাপুকুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে রবিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানা পুলিশের (ওসি তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে সাব্বিরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত মিজানুর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।