মোঃ সোহাগ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ- আরো ঘনীভূত হচ্ছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের রহস্যময়ী লোপাট বানিজ্য। ডজন অনিয়মের অভিযোগ চাপা দিতে নানা ফন্দি করে আবারো আলোচনায় জেলার আমান ও ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন। তবে কারাগারের অনিয়ম দুর্নীতি লুটপাটের তথ্য ফাঁসকারী হিসেবে কারারক্ষী মনিরুলকে দায়ী করে অনত্র বদলি করা হয়েছে। কারাগারের অপর সূত্র ধরে মনিরুলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমাকে যে অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জন্য কারা দায়ি আপনারা খুঁজে বের করুন। কারাগারের লুটপাট বানিজ্য আর বন্দীদের দুর্ভোগ তুলে ধরার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে কর্মরত আরো দুইটি বিশ্বস্ত সুত্র ধরে জানাযায় সংবাদ প্রকাশের পরে ডি আইজি প্রিজন্সের নির্দেশে প্রতিটি কারারক্ষীকে সন্দেহের তালিকায় নেওয়া হচ্ছে। ভেতরের খবর কিভাবে বাহিরে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন নিয়ে কারাগার উত্তাল। অপর দিকে কারাগার থেকে সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে মিজানুর রহমান জেল গেটেই মুখো মুখি হন কারাগারের অনিয়ম আর লুটপাট নিয়ে । কারাগারের অনিয়মের কথা বলতে গিয়ে মিজানুর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অর্থের অভাবে ভেতরের বাবুকে সন্তুষ্ট করতে না পেরে তার ভাগ্যে জুটেছিল নোংরা ময়লা যুক্ত কম্বল। বাথরুমের পাশে ঘুমানোর জায়গা , এমন পরিবেশে ৪৫ দিন ভেতরে থেকে তার পুরো শরীরে দেখা দিয়েছে নানা রোগ। শরীরে জন্ম নেওয়া নানা পঁচা অংশ ক্যামেরার সামনে তিনি তুলে ধরেন। তুলে ধরেন কারাগারের ভেতরের লুটপাটের কাহীনি। মিজানের মত আরেক বন্দী ছুটে আসেন ক্যামেরার সামনে তিনি পিসিকে চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের সাথে তুলনা করে বলেন সেখানে যে সকল খাবার সরবরাহ করা হয় সেগুলো কারা অধিদপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের খেয়ে দেখা উচিত। কারণ বন্দীরা টাকা দিয়ে কিনে খায় সেগুলো কতটা মান সম্পন্ন। কারাগারের সেই সূত্র আরো জানান কারা হাসপাতালের ঔষধ কেলেংকারি সুস্থ রোগী বাণিজ্য এমন প্রশ্ন ধামাচাপা দিতে ডি আইজি প্রিজন্স একটি ভুঁই ফোঁড় অনলাইনকে পুঁজি করে নিজের গুণগান গাইতে শুরু করেছেন। ডি আইজি প্রিজন্স ও জেলারের এমন কর্মে রাজশাহীর মূল ধারার গণমাধ্যম কর্মীরা ফুঁসে উঠেছে। একজন সাংবাদিক নেতা বলেন মাঝে মধ্যেই কারাগারের লোমহর্ষক ঘটনা কানে আসে এর পরেও তারা নিজেদের সাধু বাবা ভাবতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন কারাগার একটি সংরক্ষিত জায়গা সেখানে যদি এমন চলতে থাকে তাহলে মানুষের নিরাপদ আশ্রয় কোথায়। কারাহাসপাতালের দুর্নীতি আর অনিয়ম নিয়ে রাজশাহীর সিভিল সার্জনকে ফোন করলে তিনি বলেন কয়েক দিন আগে একজন সাংবাদিক পরিচয়ে আমায় ফোন করেছিলেন আমি তার সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেন তিনজন ডাক্তার সেখানে রয়েছেন দেখভালের জন্য, তিনি বলেন আমি মাঝে মধ্যেই কারাগারে যাই। দায়িত্বরত ডাক্তার কারা রয়েছেন সুস্থ বন্দীদের রুগী সাজিয়ে কারা হাসপাতালে ভর্তি রাখেন তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে দিচ্ছি এমন কথা বলে সিভিল সার্জন ফোন কেটেদেন। সূত্র বলছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাসে কত টাকা বড়বাবুর খাতার উল্টো পাতায় লেখা হয় তা সরকারের ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তা দিয়ে সঠিক তদন্ত করে বের করে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।জানাগেছে কারাগারের অনিয়ম আর দুর্নীতি ঘিরে একটি লিখিত অভিযোগ কারা অধিদপ্তর সহ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাচ্ছে।