মোঃ সোহাগ আলী :- গতকাল ৫ জুন বুধবার চতুর্থধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। ভোটারদের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিজয়ীদের নিয়ে চলছে এখন সর্মথক ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতা কর্মীদের আানন্দ উল্লাস।
নানান রকম ফুলের মালা দিয়ে প্রিয় প্রার্থীকে বরণ, মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিলের মধ্যে দিয়ে চলছে বিজয়ের উৎসাহ উদ্দীপনা যেন চারঘাট বাসিকে মুগ্ধ করে তুলেছে। কোথাও আবার নেচে গেয়েও মটরসাইকেল শোডাউন সর্মথকরা বাড়তি আনন্দতে মেতে উঠেছে। বয়সে তরুন্যে ও নতুন মুখ হিসেবে উৎসব-আানন্দ এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সব থেকে বেশি সিক্ত হয়েছেন কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন নামের সেই নবাগত মুখ।
বয়সে তরুন বর্তমান ও সাবেক আওয়ামীলীগীরে গুরত্বপুর্ণ পদ বহন কারি কাজী মাহমুদুল হাসান মামুন ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দিতা ও লড়াই করে জানিয়ে দেন তার অবস্থান । সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নানা বিপদে আপদে কাছে থাকে এমন ব্যক্তিকেই জয়ী করেছেন তারা। দলমত নির্বিশেষে তরুন ও নতুন ভোটাররাই তার এই জয়েমুখ্য ভুমিকা পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন এই নবাগত নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান।
প্রশাসনের একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্নভাবে ৫ জুনের এই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচনে মটরসাইকেল প্রতিক ৩২,২৮১ ভোট পেয়ে ২৪০ ভোটের ব্যবধানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) চলমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ফকরুল ইসলামকে পরাজিত করেন। তার প্রাপ্ত ভোট ৩২,০৪১ । এছাড়াও ঘোড়াপ্রতীক গোলাম কিবরিয়া পেয়েছেন ২২,২১০ ভোট । মোট ভোট পড়েছে ৮৯,৭৪৬ এবং ভোট।
এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) জমেলা বেগম প্রজাপতি প্রতীক ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) টিয়া পাখি প্রতীক কাজী ফিরোজ হাসান (লনি) নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার ভোটগননা শেষে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সাইদা খানম এই ফলাফল ঘোষনা করেন। তিনি জানান, বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
সুত্র বলছে নির্বাচন শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষনার প্রক্রিয়া কালে চলমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলামের সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র ঘিরে ফেলে অপ্রীতিকর ঘটনা জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রাপ্ত ভোট নিজের ক্ষমতা বলে ২য় বার গণনা করান ঐ চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। যে কোন ভাবে নিজের জয় নিশ্চিত করতে নানা ভাবে চাপ সৃস্টি করানোর অভিযোগ ও উঠেছে তার উপর। তৃণমুল থেকে উঠে আসা মানব প্রেমি কাজী মাহমূদুল হাসান মামুনের সমর্থকদের ভালোবাসার কারণে সেই চেষ্টায় ব্যর্থ হন তারা। সুত্রটি আরো বলেন আনারসের পক্ষ নিয়ে যারা পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে নিতে চেয়েছিলেন তাদের অধিকাংশ লোক চারঘাট উপজেলার বাহিরে থেকে আনা হয়েছিল যারা উপজেলার ভোটার অথবা বাসিন্দা নয়। এদেরকে কেন আনা হয়েছিল এমন প্রশ্ন করেন সংবাদ কর্মীরা এর কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি আনারস সমর্থকরা।